
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিজস্ব সক্ষমতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে জাতির সেবায় আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বুধবার কুমিল্লা রেঞ্জ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত দরবারে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক বলেন, বাহিনীর নবগৃহীত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-কে সুবহৎ এই বাহিনীর বিশাল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবদানের কথা স্মরণ করে বাহিনী মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং হিল আনসার-ভিডিপি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সমতলেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের মান পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিবেদিত ও সুশৃঙ্খল।
প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের রেশন বৃদ্ধি এবং বাহিনীর সদস্যদের আস্হা অর্জন সংশ্লিষ্ট পেশাদরিত্ব আগামীতে কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহনের পথকে সুগম করবে, যা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; লক্ষ্য হলো দেশের মাটি ও মানুষের সেবায় ৬০ লক্ষাধিক ভিডিপি সদস্যকে গুণগতভাবে কাজে লাগানো। দুর্যোগ ও জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে সুবৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যের এই বাহিনীকে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে ভুমিকা রাখার উদ্যোগই আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির মূল পথ।
সঞ্জীবন প্রকল্প প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, সঞ্জীবন প্রকল্প কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক কর্মহীন জনগোষ্ঠীর উত্তরনের আলোকবর্তিকা। এপ্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগ্রত করবে এবং দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করে সমাজকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:৩২ ২ বার পঠিত