
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা “গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-কে নদীর পাশে রোপণের জন্য ২০০০ বৃক্ষচারা উপহার দেন। এছাড়াও, তিনি আরও কয়েকটি সংগঠনকে বৃক্ষচারা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, “শুধু গাছ লাগালেই হবে না, এটার যত্ন নিতে হবে, বড় করে তুলতে হবে। জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলখানা, এলজিইডি, জেলা পরিষদসহ নারায়ণগঞ্জের সমস্ত উপজেলায় মোট ৫০ হাজার গাছ লাগিয়েছে। তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তাদের এক লাখ বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি এই মাসের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।
বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, তারা এরই মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১২০ ট্রাক ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করেছেন এবং এই অভিযান চলমান থাকবে।
জনভোগান্তির আরেকটি বড় কারণ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন এবং খুব শীঘ্রই এই জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “জনভোগান্তিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসীকে মুক্তি দেবো, এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আপনাদের সবার সহযোগিতায়।”
জেলা প্রশাসক জানান, “বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা মহোদয় আমাদেরকে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ বাস্তবায়নের অংশীদার হিসেবে দশ হাজার বৃক্ষচারা উপহার প্রদান করেছেন, আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।” এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং বিভিন্ন সংগঠনও “গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন” কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বৃক্ষচারা উপহার দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সবশেষে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া নারায়ণগঞ্জবাসীকে সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গাছ শুধু লাগালেই হবে না, এটাকে পরিচর্যা করতে হবে। এ পরিচর্যার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আসুন আমরা সবাই মিলে নারায়ণগঞ্জকে সবুজের নগরে পরিণত করি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩১:১৯ ১ বার পঠিত