
দেশের আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণ করে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ফোরামের সাধারণ সদস্যরা।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ডিআরইউ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সদস্য মো. নুরুদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত জুন মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাফায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ করে। যা আমাদের সংগঠনের কার্যক্রম ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ ও দেশের আমদানি রপ্তানি খাতে মারাত্মক ক্ষতি ও হুমকির সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাজেটে গ্রস ইনভয়েসের ওপর ১.৫০% অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং ১% টার্নওভার ট্যাক্স আরোপ, চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধি, বিকডার হ্যান্ডলিং চার্জ বৃদ্ধি, আইজি/ইজিএম জটিলতাসহ বহু চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। অথচ এই সংকটময় সময়ে একজন প্রশাসক নিয়োগ, যিনি পেশাগতভাবে এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ নন, তা বাফার কার্যক্রম ও স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয, বাফা ১ হাজার ১৮৮ জন সদস্যের একটি পেশাদার ও প্রভাবশালী ট্রেড বডি। দেশের প্রায় শতভাগ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাফা সদস্যদের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। এই সংগঠনের কার্যপরিধি অত্যন্ত বিস্তৃত— কাস্টমস, বন্দর, বাংলাদেশ ব্যাংক, এয়ারলাইন, শিপিং লাইন, সদস্যদের লাইসেন্স নবায়ন, এনলিস্টমেন্ট, সদস্যপদ প্রদানসহ নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।
বাফা বোর্ড গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, মাত্র তিন মাস পর নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশাসক নিয়োগ ছিল সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। তাকে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হলেও নিয়োগের ৭০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কোনো তফসিল ঘোষিত হয়নি। বরং দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদেশে ছুটিতে ছিলেন। প্রশাসক এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। অযাচিত প্রশাসক নিয়োগ গণতন্ত্রবিরোধী এবং বাফা সদস্যদের ভোটাধিকার হরণের শামিল।
বর্তমান প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সংগঠন যেন পুনরায় কার্যকরভাবে সংগঠন, ইন্ডাস্ট্রি ও সদস্যদের স্বার্থে কাজ করতে পারে তার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্বহাল করতে হবে।
আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দাবি পূরণ করা না করা হলে আমরা সাধারণ সদস্যরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের লিখিত প্রতিবাদ প্রদান পূর্বক, কর্মবিরতি পালনসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সভাপতি কবির আহমেদ, সাধারণ সদস্য ওবায়দুল হক, মফিজুর রহমান, মহাদেব কুন্ডু, হাসান আহমেদ কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৭:৩৭ ৩ বার পঠিত