দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করাই জামায়াতের লক্ষ্য: জামায়াত আমির

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করাই জামায়াতের লক্ষ্য: জামায়াত আমির
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫



দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করাই জামায়াতের লক্ষ্য: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাম্য, ইনসাফ ও বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আর্ত-মানবতার কল্যাণ ও দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে গণ-মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

তিনি বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাফরুলে থানা জামায়াত আয়োজিত এক নির্বাচনী পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন-মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মিরপুর পূর্ব থানার আমির শাহ আলম তুহিন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, আলাউদ্দিন ও তুহিন রেজা তুহিন প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে, এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘ্ন হয়নি, বরং আমাদেরকে চড়া মূল্যে কিনতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ আন্দোলনে দু’হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আমরা কোন কোন এতিমের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছি। মূলত, জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি। তাই দেশ ও জাতির জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেই তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে।

তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে, সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করেছিলেন, যে সমাজে সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত নারীরা নির্বিঘ্নে-নিরাপদে ও সম্ভ্রম নিয়ে চলাফেরা করতে পারতেন। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভুল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোন বিষয়টি নয়, বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে আর কালামে হাকিমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৮:০২   ২৪ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত
বাফার প্রশাসককে অপসারণ করে নির্বাচিত পর্ষদ পুনর্বহালের দাবি
প্লাস্টিক সার্জারির অভিযোগ অস্বীকার যেসব পাকিস্তানি তারকার
ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা : দুদু
ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫



আর্কাইভ