ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর : শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর : শিক্ষা উপদেষ্টা
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫



ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর : শিক্ষা উপদেষ্টা

‘বর্তমানে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কারণে আমরা একটি অস্থির সময় পার করছি। কিন্তু এই সময়টি সম্ভাবনাময়। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে প্রজা হয়ে গিয়েছিলাম। সেই জায়গা থেকে আমাদের মুক্ত করেছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা।
তবে এর পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল। এই জায়গা থেকে ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে হলে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ওপর।’

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপেদেষ্টা ড. সি আর আবরার।

যুব ও নারীর ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপ ও অংশীদারি উৎসাহিত করতেই এই সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এফপিএবির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান।

সি আর আবরার বলেন, ‘তরুণরা আমাদের নতুন একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ জন্য আমাদের অবশ্যই তাদের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোও তরুণদের আকাঙ্ক্ষার গুরুত্ব দেবে বলে মনে করি। আগের সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে খারাপ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন খাত তৈরি করে শিক্ষার বরাদ্দ থেকে লুটপাট করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অর্থ বরাদ্দ দিত এমন সব খাতে, যেগুলো শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্তই নয়।
শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ব্যক্তির মাহাত্ম্য বর্ণনা বা প্রচার করতেই ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। এখন ওই ধরনের কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।’

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশ গঠনের একটি সুযোগ পেয়েছি। এই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগুলো দুর্বল। আবার অনেক সময় আমাদের শক্তিশালী নীতি থাকলেও যথাযথ বাস্তবায়ন নেই।’ তাই দুর্বল নীতিগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী নীতিগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সি আর আবরার বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সিজারের গড় হার থাকার কথা ১০ শতাংশ। কিন্তু এখন সেটি বেড়ে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটা এই খাতের উদ্যোক্তাদের অনৈতিকতার ফল। এসব সংস্কারে ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। এসব কাজ তো তাদেরই হওয়ার কথা। তারা কী করছে?’

তিনি বলেন, সরকার এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করবেন। সবাই বলবেন সরকার ডাক্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এজন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এই খাতের সংগঠন ও ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং এফপিএবি’র কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, দেশে পরিবার পরিকল্পনা আন্দোলনে এফপিএবির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যহীনতা, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত যৌনজীবন উপভোগের জন্য যুব-জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে এফপিএবি। সংস্থাটির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের ২৩টি জেলায় ২১টি পূর্ণাঙ্গ ক্লিনিক, ২টি বিশেষ কর্ম ইউনিট, ৭২টি ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (এফডিসি), ২১টি তারার মেলা (যুববান্ধব ক্লিনিক) ও সিবিডি কার্যক্রম পরিচালনা করছে এফপিএবি। এর মাধ্যমে ৫০ লাখ মানুষ পেয়েছেন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, যার ৫৩ শতাংশই যুব জনগোষ্ঠী।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৯:২২   ৮ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


আবার রাস্তায় নামলে ফ্যাসিস্টদের মতো চাঁদাবাজদেরও উৎখাত করতে সমর্থ হবো : ফয়জুল করীম
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরবে : মির্জা ফখরুল
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৪ অগ্রাধিকার : বিডা প্রধান
ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন সদস্য না হতে পারে, সতর্ক থাকার আহ্বান
জ্বালানি আমদানির বকেয়া কমিয়ে ৭০০-৮০০ মিলিয়নে আনা হয়েছে: জ্বালানি উপদেষ্টা



আর্কাইভ