
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : আজ ৫ আগষ্ট-২০২৫ মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সাধরণ সম্পাদক জুঁই চাকমা গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতে জানান, শুরু থেকে আমরা লক্ষ করেছি, গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া রাজনীতিক দল ও জনগণের মধ্য ঐক্য গড়ে তোলার পরিবর্তে এই অন্তর্বর্তীকালিন সরকার ও তার জেলা প্রশাসন-উপজেলা প্রশাসন বিভাজনের নীতি হিসাবে গ্রহন করেছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছরের মধ্যে সরকার ও তার প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে এবং নিজেদের গুরুত্বভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
যাঁর সর্বশেষ নজির হচ্ছে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আজ মঙ্গলবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ)।
এসময় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ধারণকৃত বক্তব্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে
বিএনপি,জামায়াত ও এনসিবি’র প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের মূল অংশিজন রাজনৈতিক দল/পার্টি সমুহকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বাইরে রাখা হয়েছে।
রাঙামাটিতে ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান চলাকালিন যারা বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিলেন, আন্দোলন চলাকালিন ঝুকি নিয়েছেন বা ১ বছরের ভিতর আমরা যারা সরকারের নানা সমালোচনার পরও এ অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে আমরা সমর্থনযোগিয়ে আসছি, অধিকাংশ দল/পার্টিকে তাঁরা আস্থার মধ্যে নেননি।
আমাদের মনে হয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সচেতনভাবে তারা এটাকে এড়িয়ে চলছেন।
কয়েকটি রাজনীতিক দল/পার্টির কাছে নেয়া-কোলে নেয়া আর কিছু দল/পার্টিকে দুরে রাখা এটাই হচ্ছে সরকারের ভাগ বিভাজনের রাজনীতি।
আমরা মনে করি গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে জনগণ- রাজনৈতিক দল/পার্টির সমুহের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য বা একতা গড়ে তোলার কথা বা সম্ভাবনা ছিলো সরকার এবং তার প্রশাসন পথ হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত অনাঙ্খিকিত ।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনেক দলকে তারা যুক্ত করেননি।
গণ-অভ্যুত্থানের দিন একদিকে আমাদের শোকের, আবার একদিকে আনন্দের-বিজয়ের, বিজয় সামনে রেখে তারা যেভাবে বিভাজন করছে,বৈষম্য করছে, রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে দুরত্ব তৈরী করছেন এটা দেশের ভিতর অস্থিরতা বাড়াবে ।
এ ব্যাপারে আমরা সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করছি। আর এটা যদি সরকারের নীতি কৌশল হয়ে থাকে তাহলে এটা পরিহার করা বা বর্জন করা দরকার।
রাঙামাটিতে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল বা পার্টি অংশিজনদের আস্থায় নিতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী জানুয়ারি-ফেব্রয়ারি মাসের মধ্য হয়তো নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা দিবেন।
তার আগেই রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঝুকি মুক্ত রাখা, নির্বাচনকে বির্তকিত না করার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সরকারে প্রতি আহবান জানান জুঁই চাকমা।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৫:৪০ ২৭ বার পঠিত