লাখ টাকার বাইক ২০ হাজারে বিক্রি, সাবধান!

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » লাখ টাকার বাইক ২০ হাজারে বিক্রি, সাবধান!
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩



লাখ টাকার বাইক ২০ হাজারে বিক্রি, সাবধান!

রিপন মাতব্বর এবং বাদল মাতব্বর। আপন দুই ভাই মিলে তৈরি করেছেন মোটরসাইকেল চোর চক্র। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ টাকার মোটরসাইকেল চুরি করে প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করতেন মাত্র ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। অভিযান চালিয়ে দুই ভাইসহ চক্রের তিন সদস্যকে

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন অর রশিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পার্ক করা দুটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে রিপন ও বাদলকে গ্রেফতার করে ডিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল।

পরে দুই ভাইয়ের দেয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের আরও এক সহযোগীকে। উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১১ টি চোরাই মোটরসাইকেল। পুলিশ বলছে, এসব চোরাই বাইকের মূল ক্রেতা মূলত প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ।

হারুন অর রশিদ বলেন, এ ধরনের চোরাই মোটরসাইকেলগুলো মুন্সিগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার এসব এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হয়। কারণ এসব এলাকায় কাগজপত্র খুব একটা চেক করা হয় না। আর বেশি দামের বাইক কম দামে পেয়ে অনেকে কিনে থাকে। এসব বাইকগুলোর দাম লাখ টাকার বেশি হলেও চোরাই বাইকগুলো মাত্র ২০-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

যারা জেনে শুনে চোরাই এসব চোরাই বাইক কিনে থাকে সেসব ক্রেতাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়েছেন ঢাকার ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আরেকটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় এক ব্যক্তির গতিবিধি পুলিশের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি মাস্টার কি (চাবি) দিয়ে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করলে অভিযানে নামে ঢাকা জেলা পুলিশ।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জুয়েল বলেন, রাজীব প্রথমে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বাইক চোর চক্র ধরার সোর্স হিসেবে কাজ করত। সেখান থেকেই এ চক্রের বিভিন্ন লোকের সঙ্গে তার পরিচয়। সে দেশের বিভিন্ন জেলায় লোক ঠিক করে এ চক্রটি গড়ে তোলে।

পুলিশ জানায়, মাত্র পাঁচ মিনিটে লক খুলতে সিদ্ধহস্ত চক্রটি পাঁচ মাসে হাতিয়ে নেয় অন্তত ২০০ মোটরসাইকেল। চুরির পর শুধু নম্বরপ্লেট নয়, পরিবর্তন করা হয়েছে রং, চেসিস ও ইঞ্জিনও। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে কম দামে বিক্রি করত প্রত্যন্ত এলাকায়।

কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে এ চক্রটি মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের দূর-দূরান্তে, যেখানে পুলিশের নজরদারি তুলনামূলক কম, সেখানে পাঠিয়ে দিত।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫:৫৫   ৭৩ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


জামায়াতকে একাত্তরের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান দুদুর
চট্টগ্রাম বার দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে - শিল্প উপদেষ্টা
পিরোজপুরে জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন কমিটির পরিচিতি সভা
ডিসেম্বরে প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে : ইসি সানাউল্লাহ
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে অনেক অর্জন হয়েছে : শেখ বশিরউদ্দীন



আর্কাইভ