
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সরকার স্মরণকালের সেরা নির্বাচন উপহার দেবে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদেরকে বলেছেন আমরা সর্বকালের সেরা নির্বাচন উপহার দেবো, সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করবেন।
দেশের জনগণের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যাকে খুশি তাকে নির্বাচিত করুন তবে এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যিনি মেয়াদ শেষে পালিয়ে যাবেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামালপুর-১ গ্যাসকুপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুরে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে বাপেক্স। মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া এ গ্যাসকুপে ১০ দশমিক তিন বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স, এতে ৭ দশমিক দুই বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব।
যা ১১ কোটি টাকার এলএনজির ব্যবহারের সমান হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির গ্যাস সংকটের সমস্যা স্বীকার করে বলেন, আপনারা জানেন গ্যাস সংকটে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তাই বাপেক্স গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনেকেই বলে থাকেন বাপেক্স দুর্বল, তারা কাজ করতে পারে না। বাপেক্সের কাজ করে তাদের যোগ্যতা দেখানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সরকার তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সোলার পাওয়ার নিয়ে সরকার আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে।
মাদারগঞ্জে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্ট সম্পর্কে তিনি জানবেন বলে জানান ফাওজুল কবির।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে তিনি জ্বালানি সচিব থাকতে জামালপুরে এসেছিলেন, এবার এসে দেখেন সেই আগের মতোই। তবে জামালপুরে ৬০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ কোথায় হলো? এত টাকার কাজ ঠিকভাবে হলে তো জামালপুর চেনা যেতো না। এত টাকা খরচ করে যদি কাঙ্ক্ষিত গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে ১৪০ কোটি টাকা খরচের কী হবে—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, টুডি, থ্রিডি মডেলে গ্যাস অনুসন্ধান করে আরও সম্ভাব্য জায়গায় গ্যাস অনুসন্ধান করবে তারা।
এ বিষয় নিয়ে মঞ্চে উঠে আবারও কথা বলেন উপদেষ্টা। সরকারের অর্থ নিয়ে অনিয়ম বা দুর্নীতির বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্প বলেন। হোজ্জা এক শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার আগে দেখেন স্ত্রী কাবাব বানাচ্ছে, কাবাবের গন্ধ তার নাকে এসেছিল। নামাজ শেষ করে এসে খেতে বসে কাবাব না পেয়ে জিজ্ঞেস করে স্ত্রীকে। স্ত্রী তাকে জানায় সব কাবাব বিড়ালে খেয়ে ফেলেছে। তখন হোজ্জা বলেন, বিড়াল মেপে দেখবো। বিড়াল মেপে দেখেন স্বাভাবিক বিড়ালের ওজনই আছে। তখন হোজ্জা তার স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, কাবাবের ওজন থাকলে বিড়ালের ওজন কই, আর বিড়ালের ওজন থাকলে কাবাব কই গেলো। অর্থাৎ হোজ্জার স্ত্রী ওই কাবাব খেয়ে ফেলেছে।
বাপেক্স এবং সরকারের অন্য কর্মকর্তারা যেন এমন কোনো কাজ না করে সেজন্য তিনি সবার উদ্দেশে এই গল্প শুনান। এ সময় বাপেক্স কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফজলুল হক, জালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৬:০৪ ৭ বার পঠিত