
নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সমুদ্র ও নাব্য জলপথের উন্নয়নে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও নটিক্যাল চার্ট প্রণয়নে আধুনিক পদ্ধতি ও অভিন্ন মান নিশ্চিত করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বিজয় সরণির মিলিটারি মিউজিয়ামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটিএ-এর যৌথ আয়োজনে বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জলবায়ু অভিযোজন, নিরাপদ নৌপরিবহণ, ব্লু ইকোনোমি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। তিনি দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দেশে ৪টি সমুদ্র বন্দর যার মধ্যে ১টি গভীর সমুদ্র বন্দর (মাতারবাড়ী) ও ৫৪টি অভ্যন্তরীণ নৌ বন্দর রয়েছে। মাতারবাড়ীতে আন্তর্জাতিক মানের একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া ফিশারি পোর্ট প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব পেলে সরকার তা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেবে।’
নৌপরিবহণ উপদেষ্টা দেশের সমুদ্র এলাকার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত সেবাদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ।
সেমিনারে বক্তারা পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা স্বায়ত্তশাসিত ডুবো যান ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সমুদ্রতল ম্যাপিং ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩০:১৪ ১ বার পঠিত