বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতসহ ৭ দাবি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতসহ ৭ দাবি
বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫



শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতসহ ৭ দাবি

মহান মে দিবসকে সামনে রেখে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে কর্মজীবী নারী (কেএন) নামের একটি সংগঠন। ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১ মে) পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ‘তৈরি পোশাকশিল্পের ভ্যালু চেইনে কর্মরত গৃহভিত্তিক (হোম-বেজড) শ্রমিকদের শ্রম আইনের সকল শ্রম-অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত কর’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত মানববন্ধন ও শ্রমিক সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে কর্মজীবী নারী’র সহ-সভাপতি শাহিন আক্তার পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মো. শফিক, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের সভাপতি সুলতানা বেগম, রেডি সংগঠনের প্রতিনিধি মো. সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক নেত্রী শেখ শাহনাজ ও নার্গিস আক্তার এবং কর্মজীবী নারী’র কর্মকর্তা হুরমত আলী প্রমুখ।

এ সময় গৃহশ্রমিক সোনি আখতার ও গৃহভিত্তিক (হোম-বেজড) শ্রমিক চম্পা আক্তার তাদের শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন এবং এই সমাবেশ থেকে তারা তাদের শ্রমের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

সাইফুজ্জামান বাদশা বলেন, এই দেশ শ্রমিকের কষ্টে উপার্জিত। অথচ শ্রমিকেরা খেয়ে না খেয়ে জীবন চালায়। তারা তাদের ন্যায্য প্রাপ্যটুকুও সঠিকভাবে পায় না। আমি আজকের সমাবেশের সব দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি।

শাহিন আক্তার পারভীন বলেন, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের এক গৌরবময় অধ্যায়। ১ মে কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই সংগঠন শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে নারীশ্রমিকদের অধিকার আদায়ে যে প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে তা এখনও চলছে। কর্মজীবী নারী মে দিবস উপলক্ষে যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছে তা খুবই যৌক্তিক দাবি। আমি এই দাবিগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জোর আহ্বান জানাই।

৭ দফা দাবিগুলো হলো-

১. ভ্যালু চেইনে কর্মরত গৃহভিত্তিক (হোম-বেজড) শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী গৃহভিত্তিক (হোম-বেজড) শ্রমিকদের ঠিকাদার/নিয়োগকারীকে দায়বদ্ধতায় আনতে হবে।
৩. গৃহভিত্তিক (হোম-বেজড) গার্মেন্টস শ্রমিক, গৃহশ্রমিকসহ অন্যান্য অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীশ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি, ছুটি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সব সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. গৃহভিত্তিক (হোম-বেজড) শ্রমিকদের সমষ্টিগত দর কষাকষির অধিকার নিশ্চিত করাসহ তাদের সংগঠনগুলোকে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
৫. হোম-বেজড কিশোর-কিশোরী শ্রমিকদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি যেমন: শিক্ষা, উপযোগী কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং মানসিক সহায়তাসহ পর্যাপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
৬. কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যকর আইন প্রণয়ন করতে হবে।৭. আইএলও কনভেনশন ১৯০ (কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন) অনুসমর্থন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৩:০৮   ৭ বার পঠিত