কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩



কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন আয়োজিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভায় তিনি একথা বলেন।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী সভার প্রথম দিনের সেশনের শুরুতে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং তিনি সভা পরিচালনা করেন। সভায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও ১৩ টি পর্যবেক্ষক দেশ, বিশেষজ্ঞ দল এবং এডিবি ও ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনসহ এসকাপ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সকল সদস্য রাষ্ট্রসমূহ স্ব স্ব দেশের পক্ষে তাদের বিবৃতি উপস্থাপন করেন।
সিনিয়র সচিব তাঁর বিবৃতিতে বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর এবং যৌথ কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্যের জন্য মজবুত প্রযুক্তিগত অবকাঠামো স্থাপন অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এবং অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তপন কান্তি ঘোষ জানান, বাংলাদেশ ২০০৬ সালের ইলেকট্রনিক লেনদেন আইনসহ ইলেকট্রনিক লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত আইন ও প্রবিধান কার্যকর করেছে। এই আইনী বিধানের লক্ষ্য ই-কমার্স এবং ইলেকট্রনিক বাণিজ্যকে সহজতর করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ইলেকট্রনিক চুক্তির আইনি বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া।
তিনি বলেন, আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্যে ব্যক্তিগত তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে বাংলাদেশ ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করেছে যা সাইবার নিরাপত্তা সমস্যা এবং সাইবার অপরাধের তথ্য সুরক্ষার সমাধান করছে। এছাড়া বাংলাদেশ তার ডিজিটাল অবকাঠামো যেমন ইন্টারনেট সম্প্রসারণ, কানেক্টিভিটি, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহারকে উন্নীত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপান্তরের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের পর এখন ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের কাজ চলমান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তপন কান্তি ঘোষ।
উল্লেখ্য, কাউন্সিল সভায় গত ১৯ থেকে ২১ জুন একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় এবং বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৯:৩৪   ৫৬ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
বিশ্বের অন্যান্য দেশ পারলে আমরাও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পারবো- পরিবেশ উপদেষ্টা
সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে ৩২টি আইন থাকলেও সুরক্ষায় একটিও নেই : কাদের গনি চৌধুরী
শ্রমবাজার নিয়ে আলোচনা করতে মালয়েশিয়ায় আসিফ নজরুল



আর্কাইভ