‘অর্থপাচার কমেছে বলবো না, প্রতিরোধক কিছু ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » ‘অর্থপাচার কমেছে বলবো না, প্রতিরোধক কিছু ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে’
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫



‘অর্থপাচার কমেছে বলবো না, প্রতিরোধক কিছু ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অর্থপাচার কমেছে কি না বলবো না। তবে পাচারের প্রতিরোধক কিছু ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। অর্থপাচারের একটা অন্যতম মাধ্যম ব্যাংকিং সেক্টরে কিছু সংস্কার হয়েছে। আগের ঢালাওভাবে ঋণ নিয়ে সেটাকে বিভিন্নভাবে জালিয়াতি করে পাচার করার যে সুযোগটা ছিল, সেটা বন্ধ হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের যেই অ্যাক্টররা সেখানে জড়িত ছিল, তারা অনেকেই বিভিন্নভাবে হয় দেশের বাইরে অথবা বিচারের মুখোমুখি আছে। তাদের সেই ভূমিকাটাও এখন নেই বললেই চলে। যদিও নতুন অ্যাক্টরের জন্ম হয়নি সেটা আমরা বলতে পারবো না। সার্বিকভাবে ব্যাংকিং সেক্টরে এখন আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে, সংস্কার হয়েছে। যার মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে অর্থ পাচার হতো, মোটা দাগে বিশাল অংশটা সেটা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রাখতে পেরেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিদেশের কর্মরত অভিবাসীকর্মীদের মাধ্যমে একটা বিশাল অংকের অর্থপাচার হয়। তাদের আয়টা বিদেশ থেকে দেশে সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে আসার কথা, সেটাকে অপব্যবহার করে সেটা ব্যাংকিং চ্যানেল বাইপাস করে অন্যভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাচার হতো। সেটি কিন্তু এখনও মোটামুটিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। তবে পুরোপরি নিয়ন্ত্রিত সেটা বলতে পারবো না।

আমদানি এবং রপ্তানি বাণিজ্যে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থপাচার হয় জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের সিংহভাগ অর্থপাচারের পুরোটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে, সেটা আমি বলতে পারবো না। কারণ সেখানে বাস্তব সংস্কার এখন পর্যন্ত হয়নি। কিছু কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা আমাদের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ছিল। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আস্তে আস্তে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিরোধ করা আমাদের প্রায়োরিটি হওয়া উচিত, আমাদের প্রাধান্য উচিত। যেন পাচার না হয়। যেটা একবার পাচার হয়ে যায় সেই টাকাটা ফেরত আনাটা খুবই কঠিন, প্রায় অসম্ভব। ফ্রিজ হওয়া মানে কিন্তু আমরা টাকাটা পেয়ে যাবো, সেটা কিন্তু না। টাকাটা যে বাংলাদেশ থেকে গেছে ওখানকার আদালতে সেটাকে প্রমাণ করতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে ফেরত আনা খুবই কঠিন এবং জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি কাজ। খুব সহজে পাওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে যারা অর্থপাচার করে তাদের পাচারকৃত অর্থ যদি বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকতো তাহলে তারা লন্ডন, কানাডা বা দুবাইয়ে টাকা লগ্নি করতে পারতো না। বাইরে যাওয়ার সুযোগটাকে আমাদের বন্ধ করতে হবে। সেই বন্ধ করার হাতিয়ার আমাদের কাছে কিছুটা আছে, সেগুলোকে আরো শানিত করতে হবে। যে আইনগুলো আছে সেগুলোকে আরো জোড়ালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে আমাদের এটাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৬:১৭   ৫ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি : শারমীন এস মুরশিদ
পেশাদার গাড়িচালক-হেলপারদের ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র প্রদান
একটি বিশেষ দল গণতান্ত্রিক চর্চাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: ডা. রফিক
নতুন নীতিমালায় স্টারলিংক লাইসেন্স সুবিধা, দুর্গম অঞ্চলে সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ
চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে সরকার: কৃষি সচিব



আর্কাইভ