
নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। এসব এলাকার বহু ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বর্তমানে পানি স্তর ৩৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, রামপুর ও চর এলাহী ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। মুছাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে চলে গেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বহু বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে। স্টেডিয়াম পাড়া, ডিসি সড়ক, জেলখানা সড়ক, হরিনারায়ণপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হাউজিং এলাকার সড়কগুলো হাঁটুর কাছাকাছি পানিতে ডুবে রয়েছে। নিচতলা ও কাঁচা ঘরগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় এলাকাবাসী পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শহরের অনেক সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পানি ঢুকেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নিচ তলাতেও। কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণেই পানি বেড়েছে। তবে বুধবার রাতের পর বৃষ্টি কিছুটা কমেছে, তাই পরিস্থিতিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘জলাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তারা মাঠে কাজ করছেন।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫০:১০ ৪ বার পঠিত