সীমান্তের জলসীমায় বেড়েছে মাদকপাচার, রুখতে তৎপর কোস্টগার্ড

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » সীমান্তের জলসীমায় বেড়েছে মাদকপাচার, রুখতে তৎপর কোস্টগার্ড
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫



সীমান্তের জলসীমায় বেড়েছে মাদকপাচার, রুখতে তৎপর কোস্টগার্ড

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মির দখলে থাকলেও সীমান্তের জলসীমা দিয়ে কমেনি মাদকপাচার। প্রতিদিনই সীমান্তের নাফ নদীর জলসীমার কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা ও ক্রিস্টাল মেথ আইস। তবে সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচার ঠেকাতে তৎপর রয়েছে কোস্টগার্ড। আর গেলো ৫ মাসে জব্দ করা হয়েছে সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য।

সীমান্তের নাফ নদী জলসীমা। এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ আর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। ওপারে কিছু হলেই তা এপার থেকে দেখা যায়।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সংঘাত চলছে। এরই মধ্য রাখাইন রাজ্যের অনেক শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। কিন্তু তারপরও সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে কমেনি মাদকপাচার। প্রতিদিনই মিয়ানমারের নাফ নদী সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা ও ক্রিস্টাল মেথ আইস। তবে
কোস্টগার্ড বলছে, নাফনদীতে তৎপরতা বাড়ায় বেশি মাদকদ্রব্য জব্দ হচ্ছে।

টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লে. কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে জলযান নিয়ে টহল। এদিকে যেমন মাদক আসছে ঠিক তেমনি তা ধরা পড়ছে। কারণ সীমান্তের নাফ নদী জলসীমায় সবর্দা তৎপর রয়েছে কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফে একক ও যৌথ অভিযানে গত আড়াই মাসে জব্দ করা ৪৬ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করছে কোস্টগার্ড। এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৯০ ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা।

শুক্রবার (১৬ মে) বেলা পৌনে ১২ টায় কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক সমুদ্র উপকূল হতে কোস্ট গার্ডের একক এবং র‍্যাবের সমন্বয়ে ১২ টি মাদক বিরোধী অভিযানে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ডের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লে. কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, নাফ নদী পেরিয়ে অনেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়। আবার ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গারাও যাচ্ছে। সবকিছু দেখা হচ্ছে। কেউ যদি মাদক কিংবা অন্য কোন কর্মকাণ্ড করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাদকপাচার রোধে কক্সবাজারে কোস্টগার্ডের ১০টি স্টেশন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৭:০৫   ৩ বার পঠিত  




চট্রগ্রাম’র আরও খবর


ছাত্রদল নেতা হত্যা ও উপদেষ্টার মাথায় বোতল মারা চক্রান্তের অংশ : এ্যানি
সীমান্তের জলসীমায় বেড়েছে মাদকপাচার, রুখতে তৎপর কোস্টগার্ড
আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: ডা. শাহাদাত হোসেন
বিএনপির সদস্য সংগ্রহে সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১১ বাংলাদেশি



আর্কাইভ