
মিশরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, কায়রোয় হামাস নেতাদের হত্যার ইসরাইলি চক্রান্ত করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে মিশর ইসরইলকে সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের যেকোনো হামলার কঠোর জবাব দেয়া হবে। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, একজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, ইসরাইল বেশ কিছুদিন ধরেই কায়রোতে হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করছে। মিশর গত দুই বছরে যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় ইসরাইলের এ ধরনের একটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে কাতারের রাজধানী দোহায় একাধিক আবাসিক ভবনে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে প্রায় ১২টি বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া হামলা থেকে রক্ষা পেলেও তার ছেলে হুমাম ও এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হন। এই হামলা পুরো অঞ্চলে নিন্দার ঝড় তুলেছে।
ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার পরও ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেন, হামাস নেতাদের হত্যা করতে ইসরাইল অন্যান্য দেশেও হামলা চালাবে ইসরাইল। নেতানিয়াহুর এই হুমকির পর মিশরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কায়রোয় হামলার ব্যাপারে ইসরাইলি চক্রান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।
মিশরের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ‘মিশরের ভূখণ্ডে হামাস নেতাদের জীবনের ওপর যেকোনো হামলাকে মিশর তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ও ইসরাইলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচনা করবে। এর বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে আমরা এক মুহূর্তও দ্বিধা করব না।’
যদিও মিশর হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কায়রোয় বসবাসের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি, তবে নিরাপত্তা সূত্রটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার আগে থেকেই বেশ কয়েকজন নেতা মিশরে বসবাস করছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের পরিচয়, সংখ্যা ও সঠিক অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্র মতে, এই অঞ্চলকে অন্তহীন যুদ্ধ ও উত্তেজনার দিকে ঠেলে দেয়ার পরিবর্তে আলোচনায় ফিরে আসার এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করতে মিসরীয় কর্মকর্তারা তাদের ইসরাইলি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪১:৩১ ৪ বার পঠিত