আইএমও নির্বাচনে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » আইএমও নির্বাচনে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫



আইএমও নির্বাচনে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সমর্থন চাইলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ মেয়াদে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের

সি-ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২০২৬-২৭ মেয়াদে আইএমও কাউন্সিলের নির্বাচনে ক্যাটেগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সমর্থন প্রয়োজন।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপদেষ্টা আইএমও-ভুক্ত সকল সদস্য রাষ্ট্রের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং নরওয়ের পক্ষেও আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। জবাবে উপদেষ্টা নরওয়ের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে মর্মে রাষ্ট্রদূতকে জানান। সাক্ষাৎকালে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত শিপিং সেক্টরে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে প্রণীত আইএমও নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

উপদেষ্টা আইএমও কনভেনশন বাস্তবায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং সমুদ্র দূষণরোধে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বর্তমান সরকার যুগোপযোগী ও কার্যকর নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম মেরিটাইম দেশ। এদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেরিটাইম সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। এ সেক্টরকে কার্বনমুক্ত করতে বন্দরগুলোতে অটোমেশন ও আধুনিক প্রযুক্তি চালু করা হচ্ছে। জাইকার সহযোগিতায় ন্যাশনাল পোর্টস স্ট্রাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোংলা বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরগুলোকে পর্যায়ক্রমে গ্রিন পোর্টে রূপান্তর করা হচ্ছে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরো বলেন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। ঢাকার অদূরে বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি এ ক্ষেত্রে নরওয়েসহ অন্যান্য স্ক্যানডেভিয়ান দেশগুলোর প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশা করেন। তিনি টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইএমও’র কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪১:৩২   ৫ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে : অর্থ উপদেষ্টা
খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত কৃষক ও জেলেদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
সংস্কৃতি উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নারীর অবদান সমূহ দৃশ্যমানে হতে হবে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
গুজব-অপতথ্য প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: তথ্য সচিব



আর্কাইভ