
দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আলোচিত সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টিটু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর ফলে আতঙ্কে দিন পার করছে সোহাগের পরিবার। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা জানান, নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।
নিহত সোহাগের ভাগ্নি বিথি বলেন, ‘ঘটনার আসল মাস্টারমাইন্ডরা এখনো বাইরে ঘুরছে। আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দেয়া হয়েছে। আমরা ভয়ে দিন পার করছি।’
এক মাসের মধ্যে মামা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হত্যাকারীদের বিচার করা হোক।’
নিহত সোহাগের ছেলে সোহান (১০) জানায়, পরিবারের সদস্যরা সুরক্ষিত বোধ করছে না। আসামিদের ভয়ে সে স্কুলে যেতে পারছে না।
সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, ‘আমরা অনেক আতঙ্কিত আছি। হামলায় যারা পরিকল্পনা করেছিল তারা আমাদের ওপর হামলা করতে পারে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বেলন, ‘আমাদের ব্যবসা, দোকান বন্ধ আমরা কীভাবে চলবো জানি না। স্বামী হত্যায় মূল আসামিদের গ্রেফতার কের দ্রুত বিচার করা হোক।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান সময় সংবাদকে জানান, মামলার দুই নম্বর আসামি টিটুকে ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। দ্রুতই গ্রেফতার হবে আসামি। পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মামলাটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পাথর দিয়ে বর্বর এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা করে সোহাগের পরিবার। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলেও পরিবারের দাবি হামলার আসল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা মামলার ২ নম্বর আসামি সারোয়ার হোসেন টিটু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০২:৫৫ ৬ বার পঠিত