
সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় সরকার সমন্বিত পরিকল্পনা এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকার উপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন রক্ষার অংশ হিসেবে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সভায় তিনি সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সভায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বিকল্প জীবিকা সংস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
উপদেষ্টা বলেন, দরিদ্র কৃষিজীবী পরিবারকে লবণ ও জলবায়ু সহনশীল শাকসবজি ও ফসল চাষে সহায়তা দেওয়া হবে। থাকবে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও কারিগরি সহযোগিতা। কম্পোস্ট ও ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতেও সহায়তা দেয়া হবে। নারকেল গাছে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে প্রশিক্ষণ, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালনে সহায়তা এবং বাড়ির আঙিনায় ছোট নার্সারি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে। পরিবেশবান্ধব জালসহ টেকসই উপায়ে মাছ ধরার সরঞ্জাম দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জামাকাপড় সেলাই, টুপি তৈরি, ধাত্রীবিদ্যা ও বিভিন্ন ট্রেডে (কম্পিউটার, মোটর ড্রাইভিং, নৌযান চালনা, ইলেকট্রনিকস, হোটেল ম্যানেজমেন্ট) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। স্থানীয় যুবকদের ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং ‘পরিবেশ গার্ড’ গঠন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সভায় ‘স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং’, ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকা প্রকল্প’, ‘ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোপোজাল’ এবং ‘সাস্টেইনেবল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’—চারটি বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় এবং এ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বিস্তারিত আলোচনা শেষে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় টেকসই প্ল্যান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. নাভিদ শফিউল্লাহ, ড. ফাহমিদা খানম ও মো. খায়রুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া, কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সিইজিআইএস, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৫:২৪ ৫ বার পঠিত