ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া প্রত্যেক জমির মালিকের কর্তব্য। ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া বাই চয়েজ নয়, এটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংস্থার কর আদায় বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় ১৬টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরি।
এ সময় উপদেষ্টা আরও বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম উৎস হচ্ছে কর। ভূমি উন্নয়ন কর রাজস্ব খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই কর সময়মতো নির্ধারণ ও আদায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।
ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার ক্ষেত্রে আগের মত এখন আর বিড়ম্বনা নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যে কেউ যে কোনো স্থান থেকে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছে। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা হল জমি ব্যবহারের বিপরীতে সরকারের নিকট বাৎসরিক প্রদেয় কর। ২৫ বিঘার উর্ধ্বের কোন কৃষি জমি কিংবা যে কোন পরিমাণ অকৃষি জমির (আবাসিক বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত) জন্য এর মালিককে সরকারের নিকট নির্ধারিত হারে প্রতি বৎসর এই কর প্রদান করতে হয়।
তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত আদায় করলে যে খাজনার রশিদ (প্রচলিত শব্দে যাকে দাখিলাও বলা হয়) দেয়া হয় তা মালিকানারও একটি প্রমাণ এবং এটি আদালতে গ্রহণযোগ্য।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ভূমি উন্নয়ন কর এর দাবি ৮২৯ দশমিক ৬২ কোটি টাকা, মোট বকেয়া ৬৭৯ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, হাল ১৪৯ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা, মোট আদায় ১৪৪ দশমিক ১৩ কোটি টাকা রয়েছে। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে ৩৪ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২ শতাংশ। মোট আদায়ের হার ১৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশী বকেয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ে।
সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৬:১৮ ৩ বার পঠিত