
সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাচ হেরে সেদিন উইকেটকেই দুষেছিল কিউইরা। সিরিজের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটে-বলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল যেভাবে পারফর্ম করল তাতে আর উইকেটকে দোষ দেয়ার উপায় রইল না কিউইদের সামনে। অঙ্কন সোহানের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ পেয়েছিল পাহাড়সমান সংগ্রহ। এরপর বল হাতে বোলাররাও জ্বলে উঠলেন। এবার ব্যাটিংয়ে উন্নতি করলেও বড় হারই সঙ্গী হলো নিউজিল্যান্ডের। বড় জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের।
বুধবার (৭ এ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৮৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে ৪৩.১ ওভারে ২৫৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ।
৩৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। দুই ওপেনার ডেলে ফিলিপস ও কার্টিস হেফি ৪৫ বলে ৫২ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন মোসাদ্দেক। ১৬ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন হেফি।
তবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে জবাব দিচ্ছিলেন ফিলিপস। ১৫তম ওভারে তাকে বিদায় করেন শরিফুল। কিউইদের রান তখন ৯৯। ৫৪ বলে ১৪ চার ও ২ ছয়ে ৭৯ রান করেন ফিলিপস। এরপরই ধস নামে কিউইদের ব্যাটিং অর্ডারে। ১৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা।
ম্যাথু বয়েলকে (১) ফেরান মোসাদ্দেক। ২৩ বলে ১৩ রান করা কার্টার আউট হন শামীমের বলে। অধিনায়ক নিক কেলি ১৪ রান করে মোসাদ্দেকের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।
জশ ক্লার্কসন ও মিচেল হে জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬২ রানের মাথায় ক্লার্কসনকে আউট করে জুটি ভাঙেন তানভীর। ৩১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন তিনি। ১৯৫ রানে সপ্তম উইকেট হারায় কিউইরা। ১১ রান করা ফকস শরিফুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
ভালো খেলছিলেন হে। দলীয় ২১৫ রানে রেজাউর রাজার বলে আউট হন তিনিও। ৪৪ বলে ২ চারে ৩৮ রান করেন তিনি। ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক শেষদিকে হারের ব্যবধান কমান। ৩৬ বলে ৬ চারে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আদিত্য ১৩ ও লেনক্স ১ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। শরিফুল, তানভীর ও শামীম ২টি করে এবং রাজা বাকি উইকেটটি শিকার করেন।
এর আগে বাংলাদেশ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায়। সোহান ১০১ বলে ৭ টি করে চার-ছক্কায় ১১২ রান করেন। অঙ্কন ১০৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় করেন ১০৫ রান। এছাড়া মোহাম্মদ নাঈম ৪০ ও এনামুল হক বিজয় ৩৯ রান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৩:২৭ ৫ বার পঠিত