
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নারায়ণগঞ্জে ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে হাজীগঞ্জের স্মৃতিস্তম্ভের প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ২১ জন শহীদের পরিবারের সদস্য এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে বলেন, “১৯শে জুলাই সারাদেশে আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছিলেন, আমাদের সকল শহীদদের স্মরণে তাদের স্মৃতি রক্ষায় ও স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য জুলাই পুনর্জাগরণের অংশ হিসেবে আমরা সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি বনপরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি জেলায় আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন। তাদের সকলের স্মৃতি রক্ষায় আমরা এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তার অংশ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আমাদের ২১ জন যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে, তাদের ত্যাগ এই দেশের জন্য সেই ত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে, তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমরা এই মাসব্যাপী যে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি, তার ধারাবাহিকতায় আজকে এই জুলাই বাংলাদেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভে আমরা ২১ জন শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে ২১টি বকুল ফুল গাছ রোপণ করলাম।”
ডিসি জাহিদুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি এই বকুল গাছের বকুল ফুল যে সৌরভ ছড়াবে, আমাদের শহীদরা যেভাবে আত্মত্যাগ ও আত্মদান করেছিল এদেশের জন্য, সেই সৌরভ আমরা বিকশিত হয়ে তাদের যে উদ্দেশ্যে তারা এদেশের জন্য জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করব। আমরা তাদের কাঙ্ক্ষিত তারা যে দেশের প্রত্যাশা করেছিল, আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করব। শহীদ পরিবারের স্বজনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল আল ইউসুফ খান টিপু, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামশিদ ইরাম খান এবং জেলা শহীদ পরিবারের স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:০৭ ৫ বার পঠিত